প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি হ্রাস পেতে পারে, এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা। দেখা গেছে, যারা নিয়মিত প্রযুক্তি ব্যবহার করেন—যেমন ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ইমেইল পাঠানো, ভিডিও কল করা বা অনলাইন গেম খেলা—তাদের মধ্যে বয়সজনিত মানসিক অবক্ষয়ের হার তুলনামূলকভাবে কম।
ডিমেনশিয়া মস্তিষ্কের এক ধরনের রোগ যার ফলে কিছু মনে রাখতে না পারেন না রোগী। এমনকি এ রোগটির কারণে একটু আগেই করা কাজ ভুলে যায় অনেকে। গবেষকরা প্রায় ১৮ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন, যাদের গড় বয়স ছিল ৭৪ বছর। যারা নিয়মিত প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, তাদের মধ্যে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি ৪০% পর্যন্ত কমে যায়।
প্রধান গবেষক ড. লিয়াং হুয়াং বলেন, “প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মানসিক সক্রিয়তা বজায় রাখা যায়, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক হতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “প্রযুক্তি ব্যবহার মানসিক উদ্দীপনা সৃষ্টি করে, যা নিউরনের সংযোগ উন্নত করতে পারে এবং মানসিক অবক্ষয় রোধে সাহায্য করতে পারে।”

প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে সঠিক মাত্রায় এবং উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে, ছবি: ফ্রিপিক
তবে গবেষকরা সতর্ক করে বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাত্রা ও ধরন গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত সময় স্ক্রিনের সামনে কাটানো বা সামাজিক যোগাযোগের পরিবর্তে প্রযুক্তি নির্ভরতা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে সঠিক মাত্রায় এবং উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহিত করা উচিত। তাদের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার সহজ ও সুবিধাজনক করতে পারিবারিক সদস্যদের সহায়তা করা উচিত। এছাড়া, কমিউনিটি সেন্টার বা স্থানীয় সংগঠনগুলো প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করতে পারে। এজন্য প্রয়োজন সচেতনতা ও সঠিক দিকনির্দেশনা প্রয়োজন।
সূত্র: বিবিসি ও সিএনএন