সম্প্রতি জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ২০২৫ সালের শেষ দিকে অথবা ২০২৬ সালের শুরুতে দেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনের এ উদ্যোগের প্রসঙ্গটি এবার উঠে এসেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল।
ব্রিফিংয়ে জানতে চাওয়া হয়, ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের শুরুতে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী?
জবাবে মুখপাত্র প্যাটেল বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ইলেকশন আয়োজনের যে প্রস্তুতির ঘোষণা দিয়েছে, সেটাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। এতে বাংলাদেশের জনগণ তাদের নেতৃত্বকে বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবে। সময় নির্ধারণ এমন একটি বিষয়, যেদিকে আমাদের অব্যাহত পর্যবেক্ষণ থাকবে। পুরো প্রক্রিয়াজুড়ে আইনের শাসন, একইভাবে গণতান্ত্রিক মূলনীতির বাস্তবায়নকে আমরা উৎসাহিত করছি। পুরো বিশ্বে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ইলেকশন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার পক্ষে আমাদের অবস্থান।
গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে গুম কমিশন। বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এর আগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ বিষয় নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
এ বিষয়ে প্যাটেল বলেন, বাংলাদেশে বিগত দুই দশকে যেভাবে শত শত মানুষ জোরপূর্বক গুমের শিকার হয়েছে, তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। জোরপূর্বক গুম হচ্ছে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। গুম ও আটক করে রাখার কারণে ভুক্তভোগীর পরিবার মানসিক যন্ত্রণা এবং অনিশ্চয়তায় ভুগেছেন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এসব অপরাধ তদন্তে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তি এবং তার পরিবারের সদস্যদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতে স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিতের জন্য আমরা আহ্বান জানাই।