স্বপ্নের আকাশে উড়তে উড়তে পাখির দৃষ্টিতে পৃথিবীকে দেখার অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ! ড্রোন প্রযুক্তি আজ আমাদের হাতে নিয়ে এসেছে সেই অভিজ্ঞতা। আপনি যদি একজন অভিজ্ঞ ফটোগ্রাফার হন, নতুন চলচ্চিত্র নির্মাতা হন অথবা শখের ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করছেন, তাহলে একটি মানসম্মত ড্রোন আপনার সৃজনশীল কাজকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।
আজ আমরা জানাবো তিনটি সেরা ড্রোনের কথা, যা বাজেট এবং পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে আপনাকে দেবে সেরা অভিজ্ঞতা।
১. ডি জি আই এয়ার থ্রি ড্রোন
ডি জি আই এয়ার থ্রি এ একটি উচ্চ-মানের মেইন ক্যামেরা, একটি টেলিফটো ক্যামেরা আছে। এর ওজনে প্রায় ১.৫ পাউন্ড। এয়ার থ্রি বেশিরভাগ স্ট্যান্ডার্ড-আকারের ব্যাকপ্যাকগুলোতে ভালভাবে এঁটে যায়। তাই দুর্গম কোনো জায়গায় ছবি বা ভিডিও ধারণের জন্য এটি সেরা।
ডি জি আই এর ব্যাটারি লাইফ ৪৬ মিনিট। এটির ফ্লাই মোর কম্বোর সাথে থাকবে ডিজিআই আরসি টু কন্ট্রোলার। এই কন্ট্রোলারের সাথে একটি ইনবিল্ট স্ক্রিন থাকার কারণে ড্রোনটি কন্ট্রোলের জন্য মোবাইল ফোনের প্রয়োজন হয় না। এর মূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার টাকা। এয়ার থ্রি মডেলটির সাইড সেন্সিং ফাঙ্কশন থাকায় এটি চারদিক থেকে আসা বাধা বুঝতে এবং এড়াতে পারে। এটি স্থিরভাবে তার অবস্থান ধরে রাখতে পারে, এমনকি মাঝারি বাতাসেও, তাই আপনি আপনার সিনেমাটোগ্রাফিতে ফোকাস করতে পারেন।

ছবি: ডিজিআই মেভিক থ্রি
২. হাই বাজেট ডিজি মেভিক থ্রি প্রো
ডিজি মেভিক থ্রি প্রো এ ক্যামেরা আছে মোট ৩টি। এতে একটি ফোর থার্ডস সেন্সরসহ একটি হ্যাসেলব্লাড-ব্র্যান্ডেড ২৪ মিমি-সমতুল্য ওয়াইড-এঙ্গেল লেন্স আছে। এছাড়া দুটি টেলিফটো লেন্সও আছে। একটি ১/১.৩-ইঞ্চি সেন্সরসহ একটি ৭০মি মি-সমতুল্য লেন্স এবং অন্যটি একটি ১৬৬ মিমি-সমতুল্য /২-ইঞ্চি সেন্সরযুক্ত লেন্স।
প্রধান ক্যামেরায় তুলনামূলকভাবে বড় সেন্সর থাকায় এটি অনেক বিস্তৃত জায়গার ছবি ধারণ করতে পারে। এটি ছবি এডিট করার জন্য সফটওয়্যারে বেশি ডাটা দিতে পারে। এই মডেলটি তার তিনটি ক্যামেরা দিয়ে প্রাণবন্ত, শার্প স্টিল ইমেজ ক্যাপচার করতে পারে। এর ভিডিও কোয়ালিটি ৫.১কে রেজোলিউশন পর্যন্ত হয়ে থাকে, ফলে ফুটেজ বেশ রঙিন ও পরিষ্কার দেখায়৷ এর ব্যাটারি লাইফ ৪৩ মিনিট৷ এটি কিনতে হলে আপনাকে গুনতে হবে প্রায় তিন লক্ষ আশি হাজার টাকা।
৩. বাজেট ফ্রেন্ডলি ডিজি আই মিনি থ্রি
আপনি যদি শুধু ফটোগ্রাফির জন্য ড্রোন ব্যবহার করতে চান তবে ডিজি আই মিনি থ্রি একটি দুর্দান্ত স্টার্টার প্যাকেজ। ডিজি মিনি থ্রি হালকা ওজনের ও এটিতে আছে ফোর কে ক্যামেরা ও ৩৮ মিনিট ব্যাটারি লাইফ।

ছবি: ডিজেআই মিনি থ্রি
এর ক্যামেরা এবং সেন্সর এয়ার থ্রির মতো উচ্চ-মানের নয়, তবে এর এফ /১.৭ অ্যাপারচার কম-আলোতেও বেশ ভালো ছবি তুলতে পারে।
এই মডেলটিতে আরো আছে ইমেজ ও ফ্লাইট স্ট্যাবিলাইজেশন, স্মার্ট ফ্লাইট মোড। এই ড্রোনটি সহজেই সিনেমাটিক শট ক্যাপচার করতে পারে। কিন্তু অত্যাধুনিক দামি মডেলগুলোর মতো এটিতে সেন্সর নেই।
ডিজিআই-এর ইন্টেলিজেন্ট ফ্লাইট ব্যাটারি প্লাসের মাধ্যমে ব্যাটারি লাইফ ৫১ মিনিট পর্যন্ত করার ব্যবস্থা আছে, কিন্তু সেই অ্যাড-অন ব্যবহার করলে ড্রোনটি যথেষ্ট ভারী হয়ে যায়। এর দাম প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা।