হিমালয়ের দেশ নেপালের জাতীয় পতাকার আকৃতি বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের পতাকার চেয়ে পুরোপুরি আলাদা। এটি ত্রিভুজাকৃতির। এর মাধ্যমে আধুনিক নেপাল, হিন্দু-বৌদ্ধের ইতিহাস, এশিয়ার ঐতিহ্যের সঙ্গে দেশটির রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়েছে।
ত্রিকোণাকৃতির মাধ্যমে পতাকাটির শীর্ষ দুই ভাগে আলাদা করা হয়েছে। আর এর বর্ডারের রঙ করা হয়েছে গাঢ় নীল। আর সাদা রঙের সূর্য (নিচের অর্ধেক পাশে) এবং চন্দ্র (উপরের একপাশে) রয়েছে পতাকায়। এটি পতাকাটিকে ইউনিক করে তুলেছে। কারণ এই পতাকা একইসঙ্গে একক এবং দ্বৈত (ধ্বজা)। দক্ষিণ এশিয়া এবং উপমহাদেশের ইতিহাসে এই পতাকার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে বলে জানান সানযোগ রুপাখেতি। যুক্তরাষ্ট্রের হলি ক্রস কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক এই নেপালি।
সানযোগ বলেন, বিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমরা শিখেছি সূর্য এব চন্দ্র। এগুলো প্রতিনিধত্ব করে ঐক্যবদ্ধ জাতির। ত্রিকোনাকৃতির অর্থ হিমালয় পর্বত। আমি করি, এই চিহৃগুলো আরো প্রতিনিধিত্ব করে মিথিক্যাল, প্রাচীন এবং এই অঞ্চলের অভিজাত ক্ষমতাসীন এলিটদের।
এ ছাড়া অনেক নেপালির বিশ্বাস, লাল রঙ প্রতিনিধিত্ব করে দেশটির জাতীয় ফুলের। আবার অনেকে এর ব্যাখ্যা করেন, যুদ্ধ এবং সাহিকতার প্রতীক হিসেবে। তবে রুপাখেতির মতে, জাতীয় পতাকার ইতিহাস নিয়ে এসব ব্যাখ্যা নিয়ে পণ্ডিতরা পুরোপুরি নিশ্চত নয়।
নেপালি পতাকা অঙ্কন করেন ত্রিভিয়া জাঙ্কিস। এই পতাকার গাণিতিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। নর্থ আমেরিকান ভেক্সিলোজিক্যাল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক টেড কায়ে জানান, এশিয়ার পতাকাগুলোয় উপনিবেশবাদের একটা ছায়া আছে। তবে নেপালের পতাকায় রয়েছে এশিয়ার ঐতিহ্য। এই পতাকা গাণিতিক
ব্যাখ্যা নিয়ে তার ভাষ্য, সূর্যের রয়েছে ১২ রশ্মি, পতাকায় উভয়ের (সূর্য-চন্দ্র) রঙ সাদা এবং বর্ডারের রঙ গাঢ় নীল। এটা হচ্ছে জ্যামিতির জ্ঞান। যা নিশ্চিত করে আপনি সঠিক কাজ করছেন।
তথ্যসূত্র: সিএনএন